পরিস্থিতি সাপেক্ষে জনপ্রতিনিধিদের আলোচনাই বাঞ্ছনীয়। সেই উদ্দেশ্যে বারবার বিধানসভায় একত্রিত হয়েছেন বাংলার বিধায়করা। যেভাবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন এড়িয়ে দেশের মানুষকে অন্ধকারে রাখাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, তার পাল্টা বিশেষ অধিবেশন করে কর্তব্য পালনে সচেষ্ট বাংলার প্রশাসন। সেই উদ্দেশ্যে সোমবার থেকে বিধানসভার (West Bengal assembly) তিনদিনের বিশেষ অধিবেশন।
বিশেষ অধিবেশনে দু’টি মূল ইস্যু — বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant labour) উপর ধারাবাহিক হেনস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সমীক্ষা (SIR)। এর পাশাপাশি সর্বসম্মত ভাবে পাশ হওয়া একাধিক বিল রাজভবন ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অভাবে কার্যকর না হওয়ার প্রশ্নও তোলা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই আলোচনায় অংশ নেবেন।
বাংলার শ্রমিকদের উপর ভিনরাজ্যে আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষার বিরোধিতায় আগামী সোমবার থেকে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর বারোটায় শোক প্রস্তাব গ্রহণের পর দিনের অধিবেশন মুলতুবি হবে। অধিবেশন শুরুর আগেই সর্বদলীয় বৈঠক ও কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন অধ্যক্ষ। মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে মূল আলোচনা। করম পুজোর কারণে বুধবার অধিবেশন বসবে না। বৃহস্পতিবারও একই ইস্যুতে আলোচনা চলবে।
আরও পড়ুন: বিহার ভোটার অধিকার যাত্রা: মোদি সরকারের সামনে আয়না তুলে ধরবেন দুই তৃণমূল প্রতিনিধি
গত ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ‘অপরাজিতা বিল’ ফেরত পাঠানো হয় রাজভবনে, যেখানে রাজ্যের কাছ থেকে অতিরিক্ত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। রাজভবন সেই নির্দেশ নবান্নে পাঠিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা পাঠানো হয়নি, তবে তা প্রস্তুত হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে সমস্ত ‘অপেক্ষমাণ বিল’-এর বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে।
–
–
–
–
–