ব্রোঞ্জ জিতেও ইতিহাস সাত্ত্বিক-চিরাগ জুটির

0
2

ব্যাডমিন্টনের  বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল সাত্ত্বিকসাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি(Satwiksairaj ranikareddy) এবং চিরাগ শেট্টি(Chirag Shetty) জুটিকে। সেমিফাইনালে হেরে গেলেও ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে ইতিহাস তৈরি করলেন সাত্ত্বিক-চিরাগ(Satwiksairaj Ranikareddy) জুটি। সেমিফাইনালে তাঁরা হেরে গেলেন চিনের ই লিউ-বয়াং চেন জুটির কাছে।  ১৯-২১, ২১-১৮, ১২-২১ ফলে হেরে গেলেন ভারতীয় জুটি।প্রথম ভারতীয় শাটলার হিসেবে ব্যাডমিন্টনের  বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া  পদক জিতলেন সাত্ত্বিক-চিরাগ জুটি। এর আগে ২০২২ সালেও ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সাত্ত্বিক-চিরাগ।

ব্যাডমিন্টনের  বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদকের রঙ বদল করতে পারলেন না সাত্ত্বিকসাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি জুটি। ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতীয় শাটলারদের।  সেমিফাইনালে চিনের ই লিউ-বয়াং চেন জুটির বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করেও শেষমেশ হার মানতে হল ভারতের সেরা দুই তারকাকে। সেমিফাইনালে হেরে গেলেও ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে ইতিহাস তৈরি করেছে সাত্ত্বিক-চিরাগ জুটি। ভারতের প্রথম পুরুষ ডবলস জুটি হিসাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে একাধিক পদক জিতলেন তাঁরা।

প্রথম সেটে টানটান লড়াইয়ের পর অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নদের কাছে সাত্ত্বিকরা হারেন ১৯-২১ পয়েন্টে। দ্বিতীয় সেটে দুর্দান্ত কামব্যাক করলেন। কিন্তু জয় হাসিল করতে পারলেন না। ২০২২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও ব্রোঞ্জ জিতেছিল বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর জুটি। তা ছাড়া, তাঁদের হাত ধরেই এল এ বারের প্রতিযোগিতায় ভারতের একমাত্র পদক। কারণ সিন্ধু পদক জিততে পারেননি।

এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে দুরন্ত জয় পায় ভারতীয় জুটি। মালয়েশিয়ান জুটি অ্যারন চিয়া এবং উই ইক সোহকে ভারতীয় জুটির ঝড়ের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না। খেলার ফলাফল ২১-১২, ২১-১৯। ম্যাচ জিততে তাঁরা মাত্র ৪৩ মিনিট সময় নেন। এই জয়ের ফলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসর থেকে ভারতের অন্তত একটি ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত।

২০২২ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন সাত্ত্বিকরা। তার পরে দ্বিতীয় পদক নিশ্চিত করলেন। ২০১১ সালে জ্বালা গুট্টা ও অশ্বিনী পোনাপ্পা ব্রোঞ্জ জয়ের পর থেকে প্রত্যেক বার এই মঞ্চে পদক পেয়েছে ভারত। সাত্ত্বিকসাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি জুটির পদক সংখ্যা ২।

হারের পর  সাত্ত্বিক বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রতিপক্ষ জুটি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিল। ওদের শরীরী ভাষাতেই বোঝা যাচ্ছিল, ওরা আমাদের থেকেও বেশি উপভোগ করছিল ম্যাচটা। আমরাও ভাল খেলেছি।”অন্যদিকে হতাশ চিরাগ বলেছেন, “শেষ গেমের শুরুতে আমরা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলাম। শুরুটা এক দমই ভাল হয়নি। কয়েকটা সহজ পয়েন্ট দিয়েছি।”