মহম্মদ আজহারউদ্দিনের(Mohammad Azharuddin) রাজনৈতিক কেরিয়ারে নতুন মোড়। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে কংগ্রেস( Congress) তেলঙ্গানার বিধান পরিষদে সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির(Revanth Reddy) মন্ত্রিসভার সদস্যও হতে পারেন আজহার, এমনই জল্পনা তেলেঙ্গানার রাজনৈতিক মহলে। রাজনীতির ময়দানে নতুন নন আজহার, এর আগে লোকসভার সদস্য ছিলেন।
তাঁকে বিধান পরিষদে মনোনীত করার জন্য আপ্লুত আজহার। সমাজ মাধ্যমে প্রাক্তন অধিনায়ক লিখেছেন, “তেলঙ্গনায় রাজ্যপালের কোটার অধীনে এমএলসি পদের জন্য আমাকে মনোনীত করার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কংগ্রেস সভাপতি শ্রী মল্লিকার্জুন খাড়গেজি, শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী ম্যাডাম, শ্রী রাহুল গান্ধীজি, শ্রীমতি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীজি এবং শ্রী কে সি বেণুগোপালজি-কে তাঁদের বিশ্বাস এবং আশীর্বাদের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।”
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি সহ ১৪ জন মন্ত্রী রয়েছেন। ৩টি আসন খালি আছে। আজহারকে বিধান পরিষদে নিয়ে যাওয়া কংগ্রেসের মাস্টারস্ট্রোক। প্রথমত, তেলঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডির মন্ত্রিসভায় একজন মুসলিম মুখের প্রয়োজন ছিল। আজহার একদিকে মুসলিমদের প্রতিনিধি, অন্যদিকে গ্রেটার হায়দরাবাদেরও প্রতিনিধি।
তেলঙ্গনা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি হওয়ার আগে মহম্মদ আজহারউদ্দিন উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদ থেকে সাংসদ (২০০৯-২০১৪) ছিলেন। অন্যদিকে, সামনেই জুবিলি হিলস কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছিলেন আজহার। এবার সেই আসনে অন্য কাউকে প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস।
৯৯টি টেস্টেই থেমে যায় আজহারের কেরিয়ার। গড়াপেটায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে নির্বাসিত করে বোর্ড। যতটা সাড়া জাগিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন হায়দরাবাদি তারকা, সমাপ্তিটা একেবারেই ভালো হয়নি। ক্রিকেটার জীবনে যেমন উত্থান পতন ছিল তেমনই আজহারের রাজনৈতিক কেরিয়ারেও আছে।
২০০৯ সালে ভোটে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন আবার জুবিলি হিলস কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছেন। এবার রাজ্য বিধান পরিষদের সদস্য হলেন।
–
–
–
–
–