বিশ্ব ফুটবলে প্রতিদিনই নিত্য নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার হচ্ছে। বর্তমানে ফুটবল একটা শুধু শিল্প নয় বিজ্ঞান ও বটে। কোচেরা নিত্য নতুন প্রণকৌশল নিয়ে দলকে মাঠে নামাচ্ছেন। নতুন প্রযুক্তির নতুন ভাবনা বর্তমান ফুটবলের অঙ্গ তেমনই ফুটবল বিশ্বে চর্চা শুরু হয়েছে ‘লাভলপিয়ানা মডেল’ (Lavolpiana Build-up) নিয়ে।
ইংল্যান্ড তথা ইউরোপীয় ফুটবলে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই বিশেষ মডেল। এই ধরনের ফর্মেশনে সুবিধা নিচ্ছে একাধিক দল। এমনকি এই ছকের সঙ্গে সাজুজ্য রেখে পছন্দের ফুটবলার নিচ্ছে দলগুলি। ফুটবল বিশ্বে অনেকদিন ধরেই একটা প্রচলিত ছকদ ছিল সেটা হল ৪-৪-২।
এই ছকেই দলগুলিকে খেলার বেশিরভাগ কোচ খেলান। তবে অনেক সময় ফর্মেশন বদল করেন কোচেরা সেক্ষেত্রে ৪-৩-২-১ বা ৪-১-২-১-২ ছকের সাজান। কোচেরা। তবে চারজন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলতে পছন্দ করেন কোচেরা।
এই ভাবনার বদল শুরু হয়েছে। ‘লাভলপিয়ানা মডেল’ (Lavolpiana Build-up) বা ফর্মেশন অনুসারে নয়া নীতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী এই নীতি! ফুলব্যাক’দের আরও স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে আক্রমণে উঠে যাওয়ার ক্ষেত্রে। তাঁরা উপরে গিয়ে দুই উইঙ্গারকে সাহায্য করছেন অথবা দু’প্রান্ত থেকে বক্সে ক্রস তুলছেন। মাঝমাঠে দ্রুত বল দেওয়া-নেওয়ার জন্যও তাঁদের কাজে লাগানো হচ্ছে। যা সাধারণত করে থাকেন মিডফিল্ডারেরা।
ডিফেন্ডারের সামনে শুরু করছেন এক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। দুই ফুলব্যাক উঠে গেলে তিনি রক্ষণের মাঝে নেমে আসছেন। মাঝে যে দু’জন সেন্টার-ব্যাক রয়েছেন, তাঁরা তখন মাঠের দু’প্রান্তে চলে যাচ্ছেন. ফলে আক্রমণ অনেক সহজ হচ্ছে।
এই ছকটি খেলা দেখা দিয়েছিল আর্সেনাল বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর্সেনালের নতুন মিডফিল্ডার মার্তিন জুবিমেন্দি প্রয়োজনমতো নেমে আসছিলেন রক্ষণের মধ্যে। দু’প্রান্তে সরে যাচ্ছিলেন সেন্টার-ব্যাক গ্যাব্রিয়েল এবং উইলিয়াম সালিবা। এই ছকে খেলছে লিভারপুলও।
গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) হাত ধরে লাভলপিয়ানা জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্ত এর আবিষ্কর্তা গুয়ার্দিওলা নন।এই বিশেষ ছক ফুটবল বিশ্বের সামনে যিনি প্রথম এনেছিলেন এবং মেক্সিকোয় খেলার সময় যাঁর কোচিং দেখে গুয়ার্দিওলা মুগ্ধ হয়েছিলেন, তাঁর নাম রিকার্ডো লা ভলপি। তাঁর নাম থেকেই এই ফর্মেশনের নাম লাভলপিয়ানা।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে কেঁপে উঠল মাটি, পরপর পাঁচবার ভূকম্পন আফগানিস্তানে
কিন্তু ভারতে কি এই ছক খেলা সম্ভব? এই ছকে ভারতের ক্লাবগুলি খেলা কঠিন কারণ এই ছক অনুসারে খেলার কোন ফুটবলার ভারতে নেই। এই ছকে খেলতে গেলে ডিফেন্সিভ মিটফিল্ডারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে পাশাপাশি আইএসএল কোচেরা শুরু থেকেই এমন আক্রমাত্মক নীতি নিয়ে খেলতে নামেন না তারা কিছুটা রক্ষণাত্মক হন। ফলে ভারতে এই ‘লাভলপিয়ানা মডেল’ শুরু হতে সময় লাগবে।
–