একফ্রেমে পুতিন-মোদি-জিনপিং: কুকথার রাজনীতি শুরু আমেরিকার

0
3

চিনের তিয়ানজিন শহরের দিকে মোটেও তাকিয়ে নেই আমেরিকা। বরং আমেরিকাকে বাইরে রেখে চলা বৈঠকে আমেরিকাই হবে আলোচ্য। এভাবেই এসসিও সামিটকে কটাক্ষ করেছিল মার্কিন মিডিয়া। আদতে যে তা নিজেদের আশঙ্কাকে ঢাকতে, তা প্রমাণ হয়ে গেল এসসিও সামিট (SCO Summit) শেষ হওয়ার আগে। একদিকে ভারতের মার্কিন দূতাবাসের তরফে আচমকাই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারত আমেরিকার বন্ধুত্বের দাবি করা হল। অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা পিটার নাভারো (Peter Navarro) রাশিয়ার তেল নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে ‘ব্রাহ্মণ্যবাদ’কে টেনে আনলেন।

ভারতের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আমেরিকার দ্বন্দ্বের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এসসিও সামিট আয়োজিত হয় চিনে। সোমবারই সেই সামিট থেকে পুতিন (Vladimir Putin) ও জিনপিংকে (Xi Jinping) দুপাশে নিয়ে ছবি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরই বদলে যায় মার্কিন বাচনভঙ্গি। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও (Marco Rubio) দাবি করেন, ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বকে দৃঢ়ভাবে বহন করছেন তারা। দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়গুলিকে অর্থনৈতিক সম্পর্কের নিরিখে বিচার করেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

সেই সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের বার্তায় উল্লেখ করা হয়, একবিংশ শতাব্দীতে ভারত ও আমেরিকার যৌথ উদ্যোগ এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে যাবে। সেখানে নতুন আবিষ্কার এন্টারপ্রেনিয়রশিপের যৌথ উদ্যোগের বার্তাও দেওয়া হয়।

দূতাবাস এবং সচিবালয় থেকে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেও একেবারে অন্য সুর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা পিটার নাভারোর। একদিকে তিনি দাবি করেন ভারতের ওপর ৫০ বা ২৫ শতাংশ শুল্ক লাগু করা হয়েছে কারণ ভারত শুল্কের মহারাজা। তারা আমেরিকার কোনও জিনিস ভারতে বিক্রি করতে দিতে চায় না। যে নাভারোও কিছুদিন আগেই মোদী এবং পুতিনের বন্ধুত্বের নিন্দা করেছিলেন, আজ তার মুখে তিন দেশ নেতার নাম একসঙ্গে। কার্যত স্পষ্ট এসসিও সামিটে তিন দেশ নেতাকে একসঙ্গে দেখেই হালে পানি পাচ্ছে না আমেরিকা।

অত্যন্ত কুরুচিকর ভাবে নাভারো দাবি করেন, আমি বুঝতে পারছি না কেন মোদি একজন মহান নেতা হয়েও পুতিন এবং জিনপিং-এর সঙ্গে একই বিছানায় যাচ্ছেন। ভারতীয়দের সাধারণভাবে বলতে পারি একটি বিষয় বুঝে নিন। ভারতীয়দের মূল্যের বিনিময়ে লাভের অঙ্ক দেখছেন শুধু ব্রাহ্মণরাই। আমাদের সেটা থামানো দরকার।

আরও পড়ুন: এক ফ্রেমে তিন দেশনেতা: ‘অর্থপূর্ণ’ ছবি পোস্ট নরেন্দ্র মোদির!

এশিয়ার তিন বৃহৎ শক্তির এক মঞ্চে আসা যে আমেরিকার ঘুম ছুটিয়েছে, তাদের নরম এবং গরম – একসঙ্গে দুই মন্তব্যে সেটা স্পষ্ট। তবে জাতি তুলে যে কুরুচিকর আক্রমণে নেমেছেন পিটার নাভারো, ভারত তার কি প্রত্যুত্তর দেয় এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।