রাজ্যে ফল ও সবজি প্রক্রিয়াকরণের আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে একযোগে কাজ শুরু করেছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর (এমএসএমই) এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতর। এজন্য প্রতিটি জেলা শিল্প কেন্দ্র (ডিআইসি)-কে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হর্টিকালচারভিত্তিক হাব তৈরির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর শস্য ও ফল-সবজি উৎপাদন হয়। কিন্তু প্রক্রিয়াকরণের পরিকাঠামোর অভাবে সেগুলি অন্য রাজ্যে পাঠাতে হয়। পরে সেই প্রক্রিয়াজাত পণ্য আমদানি করতে হয়, ফলে অপচয় বাড়ে। আমরা চাই, রাজ্যের মধ্যেই প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদন হোক। রাজ্য সরকার শিল্পপতিদের সব রকম সহযোগিতা দেবে।
নবান্ন সূত্রে খবর, কোথাও পরীক্ষাগার, কোথাও শীতলীকরণ ব্যবস্থা কিংবা সার্টিফিকেশন সেন্টারের প্রয়োজন রয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ডিআইসি অফিসগুলি হর্টিকালচার দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করবে। পাশাপাশি স্মার্ট প্যাকেজিং ও রপ্তানি-যোগ্য কনটেনারের দায়িত্বও ডিআইসি-র হাতে থাকবে।
জেলা শাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে তিন দফতরের মধ্যে ব্যবহারিক সমন্বয় বাড়াতে। ঠিক হয়েছে, রাজ্যজুড়ে আয়োজিত বার্ষিক এমএসএমই সাইনার্জি বৈঠকে এ বার থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি বড় সংস্থাগুলিকে কৃষক উৎপাদক সংগঠন (এফপিও)-এর মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহে উৎসাহ দেওয়া হবে।
এমএসএমই দফতরের আয়োজিত বায়ার-সেলার মিটেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে হর্টিকালচার পণ্যে, যাতে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরাসরি উপযুক্ত ক্রেতার হাতে পৌঁছতে পারে। রাজ্যে আলু, ভুট্টা, টমেটো এবং গ্রীষ্মকালে আমের বিপুল উৎপাদন হয়। এগুলি প্রক্রিয়াজাত করে নানা ধরনের পণ্য তৈরি করা সম্ভব। শুধু দেশীয় বাজারেই নয়, রপ্তানিরও বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এমএসএমই দফতর সেই দিকটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন – ব্যর্থ খালিদের বিশেষ ছক, ইরানের কাছে ০-৩ গোলে হার ভারতের
_
_
_
_
_
_