নদিয়ায় ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত দেশরাজ গ্রেফতার, গা-ঢাকা দিয়েও হল না লাভ

0
2

অবশেষে রাজ্য পুলিশের জালে নদিয়ায় ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত দেশরাজ সিং। উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) থেকে তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। রবিবারই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাকে ট্রান্সসিট রিমান্ডে কৃষ্ণনগরে আনা হচ্ছে। দেশরাজের পাশাপাশি তার বাবাকেও গ্রেফতারের প্রস্তুতিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে রাজস্থানে রাজ্য পুলিশ (West Bengal police)।

সোমবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে কলেজ ছাত্রী ইশিতা মল্লিককে খুনের পরই উত্তরপ্রদেশে গা-ঢাকা দিয়েছিল দেশরাজ সিং। বাড়িতে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে ছাত্রীকে খুন করে দেশরাজ। এরপর তার পরিবার দাবি করে সে বাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি। কৃষ্ণনগর পুলিশের দাবি, খুনের পরে বাড়িতেই অপেক্ষা করেছিল দেশরাজ। ইশিতার মা ও দাদা ফিরতেই মায়ের মাথাতেও বন্দুক ধরেছিল সে। তবে কোনওভাবে সেই ফায়ার না হওয়ায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ট্রেন ধরে নৈহাটি, সেখান থেকে হাওড়া ও হাওড়া থেকে দুন এক্সপ্রেস ধরে উত্তরপ্রদেশ পাড়ি দেয় সে।

কৃষ্ণনগর পুলিশ খুনের পরেই ট্র্যাক করে ফেলে দেশরাজকে। সে যখন ট্রেনে আসানসোল এলাকা পার করছিল, তখন থেকেই সে ছিল পুলিশের ব়্যাডারে। এরই মধ্যে শনিবার দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। দেশরাজকে গা-ঢাকা দিতে সাহায্য করেছিলেন তিনি, দাবি পুলিশের। পুলিশের আরও অভিযোগ দেশরাজের বাবাও তাকে পালাতে ও গা-ঢাকা দিতে সাহায্য করেছিলেন। এবার তাঁর খোঁজে রাজস্থানের জয়সলমেরের পথে রাজ্য পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাংলার শ্রমিকদের হেনস্থা ও এসআইআর: বিধানসভায় তিনদিনের বিশেষ অধিবেশন

পুলিশের দাবি, উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপাল পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল দেশরাজ। তার জন্য নকল আধার কার্ড ও পরিচয়পত্র তৈরি করে মামা কুলদীপ মোবাইলে পাঠিয়েছিল দেশরাজকে। সেই সূত্রে দেশরাজকে ধরা আরও সহজ হয় পুলিশের জন্য। রবিবার উত্তরপ্রদেশেরে নেপাল সীমান্ত লাগোয়া মহারাজগঞ্জ জেলার জামনগর এলাকায় রাস্তা থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। নেপালে পালানোর আগেই অত্যন্ত হিংস্র দেশরাজকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রেফতার করেন কৃষ্ণনগর পুলিশের আধিকারিকরা। গোটা দলকে অভিনন্দন জানান পুলিশ সুপার অমরনাথ কে।