নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতিই সার! বিহারের মাত্র ১৬ শতাংশ বিধানসভাতেই ২ লাখ ডুপ্লিকেট ভোটার

0
4

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ার পর বড় মুখ করে জ্ঞানেশ কুমার ঘোষণা করেছিলেন দেশ থেকে সব ডুপ্লিকেট ভোটারের (duplicate voter) নাম কেটে ফেলা হবে তিন মাসেই। জুন মাসে সেই মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। আর এখন বিহার নির্বাচনের আগে দেখা যাচ্ছে বিহারের ৩৯ টি বিধানসভায় ১.৮৮ লক্ষ ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম এখনও রয়ে গিয়েছে। তবে কোথায় গেল নির্বাচন কমিশনের (ECI) প্রতিশ্রুতি? আর ভোটের মুখে কিভাবেই বা এই বিপুল পরিমাণ ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম বাদ দিতে সক্ষম হবে কমিশন? তৃণমূল কংগ্রেসকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ কমিশনকে এবার প্রশ্ন বাংলা শাসক দলের।

ভোটার তালিকায় একই নামের একাধিক ভোটার ঢুকিয়ে যে ভোট চুরির কাজ বিজেপির নির্দেশে নির্বাচন কমিশন শুরু করেছিল, তার রহস্য ফাঁস করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কমিশনের বিরুদ্ধে এই নিয়ে আন্দোলনও গড়ে তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৬ মার্চ নির্বাচন কমিশনের দফতরে দেখা করে ডুপ্লিকেট ভোটার সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।

তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে অর্থাৎ ৭ জুনের মধ্যে ভোটার তালিকা থেকে সমস্ত ডুপ্লিকেট ভোটারের নাম বাদ যাবে। এমনকি প্রায় কুড়ি বছর ধরে ডুপ্লিকেট ভোটারের অনিয়ম চলে আসছে বলে, দায় ঠেলার চেষ্টা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার তাঁরা নিজেদের দায় কিভাবে মুক্ত হবেন উঠেছে প্রশ্ন।

১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার বিহার নির্বাচনের (Bihar assembly election) আগে সেখানে শেষ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR)। অথচ এখনই সমীক্ষার ফলাফল বলছে বিহারের ২৪৩ টি বিধানসভার মধ্যে মাত্র ৩৯ টি বিধানসভাতে, অর্থাৎ মাত্র ১৬ শতাংশ বিধানসভায় এখনও ১,৮৭,৬৪৩ ডুপ্লিকেট ভোটার (duplicate voter) রয়ে গিয়েছে। তবে গোটা বিহারে কত ডুপ্লিকেট ভোটার হতে পারে, তা হিসাব মিলিয়ে নেওয়া যাবে। এর মধ্যে ১.০২ লক্ষ এমন নাম রয়েছে যাদের দুটি ভোটার আই কার্ড রয়েছে। ২৫,৮৬২ এমন মানুষ রয়েছেন যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় দুবার রয়েছে।

আরও পড়ুন: কংগ্রেস দফতরে হামলায় গ্রেফতার রাকেশের ছেলে, গাড়ি-সূত্রেই গ্রেফতারি

সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে ৩৯ টি বিধানসভায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার সম্মিলিত ভোটারের সংখ্যা ৩.৭৬ লক্ষ। আর তার মধ্যে যদি ১.৮৭ লক্ষ ডুপ্লিকেট ভোটার থাকে তবে কী পরিমাণ ভোট চুরি সম্ভব তা স্পষ্ট। বিহারে এসআইআর করার পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার দাবী জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আদতে তাতে যে যোগ্য ভোটারের নাম বাদ দিয়ে অযোগ্যদের রেখে দেওয়া হয়েছে সেই ভোটার তালিকায় সমীক্ষাতেই তা প্রমাণিত।