মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’–র ছত্রছায়ায় এবার জায়গা পেলেন জন্ম-অন্ধ ও দুর্ঘটনায় দৃষ্টিহীনরা। প্রথম দফায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৪০ জন দৃষ্টিহীন রবিবার গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাবের দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোগে পেলেন পাঁচ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিমার কার্ড। শুধু তাই নয়, নাম–পরিচয়হীন, সহায়–সম্বলহীন, নিঃসঙ্গ শতাধিক পুরুষ ও মহিলার হাতেও তুলে দেওয়া হল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। উদ্যোগে পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা পুজো কমিটির প্রধান উপদেষ্টা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
দৃষ্টিশক্তিহীনদের অনেকে এতদিন প্রতিবেশী বা পরিবারের অগোচরে এই প্রকল্পের বাইরে ছিলেন। গড়িয়াহাটের শিবিরে এসে কার্ড হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত মানসী দত্ত, অজয় পাল, অরবিন্দ মাইতি, শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁরা জানান, অক্ষরজ্ঞান না থাকায় কিংবা ছবি–বায়োমেট্রিকের জটিলতায় স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা এতদিন পাননি। শিবিরে মিনিট কয়েকের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকার বিমার কার্ড হাতে পেয়ে আবেগে ভেসেছেন সকলে।
কার্ড বিলির সময় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দৃষ্টিহীনদের উদ্দেশে বলেন, আমার নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলুন। উনিই চান, দৃষ্টিহীন থেকে সহায়–সম্বলহীন—কেউ যেন চিকিৎসার খরচের ভারে নুয়ে না পড়েন।
এদিন একই শিবিরে দক্ষিণবঙ্গের শতাধিক নিঃসঙ্গ মানুষও পেলেন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হল স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। ‘চেতনায় স্বাস্থ্য কামনা’ শীর্ষক এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, মেয়র–পরিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপরঞ্জন বক্সী, বরো চেয়ারপার্সন চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলর মৌসুমী দাস, সৌরভ বসু, পারমিতা চট্টোপাধ্যায় ও প্রবীর মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
আরও পড়ুন – কলকাতার রামমোহন সম্মিলনীর পুজোয় মায়ের সজ্জায় মেদিনীপুরের গয়না বড়ি