সাঁইবাবার ছবি থেকে মধুপ্রাপ্তি, মমতা শঙ্করের কথার ব্যাখ্যা সোশ্যাল মিডিয়ায়

0
2

যত দিন যাচ্ছে ততই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar) নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন। কখনও শাড়ি পরার স্টাইল তো কখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন মন্তব্য, কিছুদিন অন্তর অন্তর তাঁর কথা এবং ভাবনাচিন্তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা শুরু হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাঁইবাবার ছবির তলা মধু প্রাপ্তির কথা বলেছিলেন তিনি। এরপর ফের নেট দুনিয়া তোলপাড় হয়। ২০২৫ সালে দাড়িয়ে শিক্ষিত এক সেলিব্রেটি কী ভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকে। তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেই মিলল মমতা শঙ্করের মধুর ব্যাখ্যা।

কৌশিক মজুমদার (Kaushik Majumdar) নামে এক লেখক গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা তুলে ফেসবুকে (Facebook) পোস্ট করেছেন। তাঁর বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহের কথা পাঠক ও অনুরাগীদের অজানা নয়। তিনি লেখেন, ‘গোটা নেট দুনিয়া আবার তোলপাড়। এক সাক্ষাৎকারে মমতা দেবী বলেছেন সাঁইবাবার ছবির তলা থেকে মধুর মত কিছু একটা আঠালো পদার্থ আলমারি থেকে চুঁইয়ে পড়ছিল। তিনি মুখে দিয়ে দেখেছেন। মিষ্টি। এটুকু শুনেই সবাই হই হই করে উঠেছেন। কিন্তু আসল ক্লু আছে পরের অংশে যেখানে তিনি বলছেন তাঁর বউমার সাধের দিন তিনি রিপোর্ট খুলে দেখেন তাতে গাঢ় লাইনের মত সেই মধু আটকে আছে। মজার ব্যাপার অন্তত এই ব্যাপারে তিনি না জেনে একেবারে ঠিক অবজারভেশন করেছেন। কোন ভুল নেই।’

নিজের পোষ্টের স্বপক্ষে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কৌশিক। তিনি জানান, Hemiptera বর্গের Cicadidae পরিবারের একটি পোকা Meet Cicada কাগজে বাসা বাঁধে। বিশেষ করে ভেজা আবহাওয়ায় বইয়ের পাতায় ডিম-ও পাড়ে। এই ডিম যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য সে নিজের পায়ু দিয়ে আঠালো, হালকা হলদে এবং ‘মিষ্টি’ এক রস বার করে যার ইংরাজি নাম হানিডিউ (Honeydew)। এঁকে দেখে মধু মনে হওয়া অসম্ভব না। ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর নিঃসরণ হয়। বাতাসের সংস্পর্শে এলেই তা জমে শক্ত হয়ে ডিমকে বইয়ের পাতার সঙ্গে লাগিয়ে রাখে। সে সময় এর রঙ বদলে গাঢ় সোনালী থেকে খয়েরি হয়ে ওঠে। পরবর্তী কালে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে যায়। কিন্তু লাইনের মত আঠালো এই ডিউ থেকে যায়। এর কথাই মমতাশঙ্কর বলতে চেয়েছেন বলেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। যদিও এর পর অবশ্য ‘মৃগয়া’ (Mamata Shankar) অভিনেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।