আটকে রয়েছে ৪০০ ট্রাক। তবে কী ট্রাকের ভিতরেই এবার পচে যাবে কাশ্মীরের আপেল? বড় প্রশ্ন জম্মু ও কাশ্মীরের আপেল ব্যবসায়ীদের মধ্যে। দ্রুত জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক না খুললে বড় সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। প্রায় একই রকম আশঙ্কার মধ্যে নাশপাতি ব্যবসায়ীরাও। যদিও আশার আলো দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। রবিবার সকালেই প্রধান উপদেষ্টা থেকে মুখ্যসচিবের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন দ্রুত জাতীয় সড়ক খোলার ব্যবস্থা করার জন্য।
কাশ্মীরের বারামুল্লা, কুপওয়ারা, বন্দিপোরা এলাকায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আপেল তোলার কাজ। সেই সব আপেল নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রওনা দেওয়া শুরু করেছিল আপেল বোঝাই ট্রাক। আর এই আপেল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানোর উপরই নির্ভর করে রয়েছে গোটা ভূস্বর্গের মূল অর্থনীতি। সেখানে যুক্ত রয়েছেন চাষী থেকে জমির মালিক, ব্যবসায়ী, পরিবহন শিল্প থেকে গাড়িচালকরাও। এক একটি দিন সেই আপেল ট্রাক বন্দি হয়ে পড়ে থাকার অর্থ কোটি টাকার ক্ষতি।
আপেলের মতো নাশপাতিও বেশিদিন ধরে রাখা যায়নি। প্যাকিং হলেই বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হয়। নাশপাতির জমিতে ফল তোলার কাজ সারা হয়ে গিয়েছে। শুধু গাড়িতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে স্তূপাকৃতি নাশপাতি। হড়পা বান ও ধসের কারণে আচমকা জাতীয় সড়ক বন্ধ হওয়ায় শুধুমাত্র পরিবহনের অভাবে চরম আশঙ্কার মধ্যে কাশ্মীরের অর্থনীতি। এখনও যে পরিমাণ ফল বাজারে পৌঁছানোর অপেক্ষা করছে তা নষ্ট হলে ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি বলে অনুমান ব্যবসায়ীদের।
ইতিমধ্যেই জম্মু-শ্রীনগর ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সচল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। জাতীয় সড়ক খুললে কোন কোন বিষয়কে গুরুত্বের ভিত্তিতে কাশ্মীরের বিপর্যয় মোকাবিলা করা হবে তান নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। একদিকে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ পৌঁছানো, অন্যদিকে আটকে পড়া যানবাহনের জন্য জাতীয় সড়কটি সচল হওয়াকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।
–
–
–
–
–
–