দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে বসিয়ে বাংলায় এসে বড় বড় কথা বলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে সর্বক্ষণ হাত মিলিয়ে যিনি চলেন, সেই মোদির মুখেই আবার দুর্নীতি দমনের কথা! তিনি যদি দুর্নীতি দমনে বিল আনবেন, তবে যাঁদের তিনি দুর্নীতিবাজ বলে দেগে দিয়েছিলেন, তাঁদেরকে দলে নিয়ে এখন হাত মিলিয়ে চলছেন কেন? দুর্নীতির সংজ্ঞা কী? কীভাবে দুর্নীতিকে সমর্থন করতে হয়? তা তো আপনারাই দেখাচ্ছেন! স্পষ্ট করে দিচ্ছেন দুর্নীতিবাজ কারা! তৃণমূল (TMC) তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সেইসব ছবি পোস্ট করে দেখিয়ে দিয়েছেন আসল দুর্নীতিবাজদের চরিত্র। কাদের মুখে এক, কাজে আর এক। কারা দ্বিচারিতা করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলেছেন! তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, এখনও যদি না জেনে থাকেন দুর্নীতিবাজ কারা, তবে দেখে নিন এইসব ছবিগুলো। তাহলেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে সব।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা (Kolkata) সফরের দিনই তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছিল তাঁর নৈতিকতা নিয়ে। সেদিন মঞ্চে সারদা-নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত তথাকথিত বিরোধী দলনেতা, শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত সাংসদ রবনীত সিং বিট্টুদের পাশে বসিয়ে দুর্নীতি দমন আর নারী সুরক্ষার বুলি আওড়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলছিলেন দুর্নীতি দমনেই নতুন বিল আনছেন। আপনি মিথ্যাচার করে গিয়েছিলেন। আপনার আসল স্বরূপ হল, ভিতরে ভিতরে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া। তা না হলে যাঁদেরকে তিনি দুর্নীতিবাজ বলে তকমা সেঁটে দিয়েছিলেন, এখন তাঁদেরই সঙ্গে হাতে হাত কেন? নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন সফরে দেখা গিয়েছে, তিনি হাত মেলাচ্ছেন অজিত পাওয়ার, ছগন ভুজবল, প্রফুল্ল প্যাটেল, হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের মতো দুর্নীতিতে দাগী রাজনীতিকদের সঙ্গে। আর এ রাজ্যের তথাকথিত বিরোধী দলনেতাকে পাশে বসিয়ে তিনি তৃণমূলকে নিশানা করছেন। তাহলেই বুঝুন ক’টা মুখ প্রধানমন্ত্রীর!
এখন তাঁর দল ওইসব দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দলে নিয়ে তাঁদের সঙ্গে সহাবস্থান করছে। আর যে অভিযোগগুলো বিজেপি এবং মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে উঠছে, সেইগুলো তিনি আওড়ে যাচ্ছেন অন্যের দিকে আঙুল তুলে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ার, ছগন ভুজবল, প্রফুল্ল প্যাটেল বাংলার তথাকথিত বিরোধী দলনেতা, যাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপি অভিযোগ করেছিল, তাঁরা তদন্ত এড়াতে বিজেপিতে গিয়েছেন। তাই এইসব দুর্নীতিগ্রস্তদের দলে নিয়ে দয়া করে নৈতিকতার বুলি আওড়াবেন না। এই বিজেপি সংসদে মহিলা সাংসদের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত রবনীত সিং বিট্টুদের সমর্থন করে। ব্রিজভূষণের মতো অভিযুক্ত সাংসদদের প্রতিনিধি করে অপারেশন সিঁদুরের প্রচারে বিদেশে পাঠায়। প্রধানমন্ত্রী, আপনার দলই তো দুর্নীতির তদন্তে থাকা ২৫ জন বিরোধী নেতাকে দলে ভিড়িয়েছে না? তাঁদের মধ্যে ২৩ জনকে আবার ক্লিনচিটও দেওয়া হয়েছে। এই তো আপনাদের চরিত্র!
আরও খবর: সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের শাস্তি, সাসপেন্ড পূর্ব বর্ধমানের ASI!
–
–
–
–
–
–
–