এক সপ্তাহও হয়নি। ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক লাগু করেছে আমেরিকা। আগে লাগু করা ২৫ শতাংশ শুল্কের উপর রাশিয়া-বন্ধুত্বের কারণে আরও ২৫ শতাংশ শুল্কের বোঝা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই চিনের উপর শুল্ক (tariff) লাগু করায় ফের একবার পিছু হঠলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। যে আমেরিকা (USA) ও চিনের (China) বাণিজ্যিক শত্রুতা বিশ্বে পরিচিত, সেই দুই দেশ শুল্ক সমঝোতায় আসায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিদেশ নীতি।
সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চিনের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক লাগু করার যে ঘোষণা করেছিলেন, তা আরও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত। প্রাথমিকভাবে মে মাসে চিনের উপর শুল্কের ঘোষণা করার পরেও ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত রাখে ট্রাম্প। অগাস্ট মাসে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা।
সেখানেই প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা-নীতি। বলা ভালো, ট্রাম্প-নীতি। তিনি আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ভালোর এমন ছবি তুলে ধরেছিলেন, যা ডাহা ফেল প্রমাণিত। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ২৫ শতাংশ গুনাগার দিতে হচ্ছে দেশকে। অথচ এই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য জারি রয়েছে চিনেরও। তা সত্ত্বেও আমেরিকা-চিন শুল্ক যুদ্ধে কোথাও রাশিয়ার প্রভাবের কথাই এলো না। কেন ভারত এই বিতর্ক এড়াতে পারল না, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: শুল্ক যুদ্ধে পিছু হঠল আমেরিকা-চিন, বাড়ল ডলার-ইউয়ানের মান
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, চিন (China) ও আমেরিকার (USA) মধ্যে উভয়ের জয়ের নীতি অবলম্বন করাই ভালো। দমননীতি ও শাসকের দৃষ্টিভঙ্গি কখনই সমাধানের পথে নিয়ে যেতে পারে না।
–
–
–
–
–