জটিল স্নায়ু রোগে আক্রান্ত হয়েই টেনিস ছেড়েছিলেন মনিকা সেলেস

0
2

মনিকা সেলেসের (Monica Seles) নামটা শুনলে সবার আগে একটাই ছবি ভেসে ওঠে। স্টেফি গ্রাফের এক ভক্ত ছুড়ি মেরেছিল সেলেসকে। সেই সময় মহিলাদের টেনিসে (Womens Tennis) সেলেস ক্রমেই হয়ে উঠছিলেন অপ্রতিরোধ্য। মাত্র কয়েকদিনের কেরিয়ারে জিতে ফেলেছিলেন ৯টি গ্র্যান্ডস্লাম। কিন্তু হঠাত্ই হারিয়ে গিয়েছিলেন মনিকা সেলেস (Monica seles)। টেনিস কোর্ট থেকে সরে গিয়েছিলেন বহু দূরে। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছিল। সেলেস ভক্তদের কৌতূহলের শেষ ছিল না। অবশেষে নিজেই সেই কথা সকলকে জানালেন মনিকা সেলেস।

দীর্ঘদিব ধরেই টেনিস কোর্টের বাইরে রয়েছেন মনিকা সেলেস (Monica Seles)। কিন্তু কেন এমনটা। সেটাই এবার সবার সামনে আনলেন খোদ মনিকা সেলেস। এক জটিল নিউরোলজি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মনিকা সেলেস। আর তাতেই নিজের প্রিয় খেলা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন এই তারকা টেনিস খেলোয়াড়। অনেকেই নিজেদের মতো নানান তথ্য দিয়েছিলেন তাঁর সরে যাওয়া থেকে কিন্তু এবার আসল কথাটা জানালেন খোদ মনিকা সেলেসই।

এক জটিল নিউরোলজিক্যাল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সেই রোগের নাম মিসথেনিয়া গ্রেভিস (myasthenia gravis)। এই রোগে আক্রান্ত হলে পেশীর শক্তি ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে। এমনকি হাত নাড়ানোর ক্ষমতাও নাকি অনেক সময় থাকে না। সেইসঙ্গে প্রভাব পড়ে দৃষ্টি শক্তিতেও। আর একজন টেনিস খেলোয়াড়ের পক্ষে এই দুইয়ের প্রভাব যে কতটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মনিকা সেলেস নিজেই জানিয়েছেন, “আমি যদি কোনও পরিবারের সদস্য কিংবা কোনও ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতাম, সেই সময় খেয়াল করতাম আমি বারবার বল মিস করি। কারণ দু জোড়া বল দেখতে পাই। এই উপসর্গ গুলোই দেখা যায়। আর এটাই আমার সরে যাওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় অন্যতম একটা কারণ ছিল”।

এই রোগে আক্রান্ত হলে কখনোও কখনোও হাতও নাড়ানো যায় না, পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়ার ফলে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে কেরিয়ারের গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছিলেন মনিকা সেলেস। ১৯৯০ সালে অভিষেক হয়েছিল। এরপর ২০০৩ সালেই ছেড়ে দিতে হয় টেনিস। এইটুকু সময়ের মধ্যেই জিতে নিয়েছিলেন ৯টি গ্র্যান্ডস্লাম। কিন্তু এই একটা রোগই শেষ করে দিয়েছিল মনিকা সেলেসের টেনিস কেরিয়ার ।

সামনেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। আগামী ২৪ অগাস্ট থেকে শুরু হবে ইউএস ওপেন (US Open)। তার আগেই নিজের কেরিয়ারের এই অজানা কথা সকলকে জানালেন একসময়ের টেনিস কুইন। এবার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও উপস্থিত থাকবেন মনিকা সেলেস।