আন্দোলনের নামে কলকাতা শহর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা আর সেটার রুখতে গিয়ে বারবার আক্রমণের শিকার পুলিশ (Police)। চোখ হারানোর মতো অবস্থা, হাত চিরদিনের মতো অকেজো হয়ে যাওয়া- কোনটাই বাদ নেই। শনিবার বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানেও নির্মমভাবে মারা হল এক পুলিশ কর্মীকে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার পথে নামছেন পুলিশ পরিবারের মহিলাররা। পরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তাঁরা।
শনিবার, নবান্ন (Nabanna) অভিযানের নামে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বাধীন বিজেপি কর্মীরা। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তরফে সুনির্দিষ্ট ভাবে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হয়েছিল আগেই। আদালতের নির্দেশ মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেয় কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ (Police)৷ পুলিশের নির্দেশিকা এড়িয়ে পার্কস্ট্রিটমুখী হন শুভেন্দু অধিকারী। লালবাজারের তরফে জানানো হয় হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে না গিয়ে পার্ক স্ট্রিটের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেটা নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এছাড়াও ডিসি এসএসডির নিরাপত্তারক্ষী কনস্টেবল প্রশান্ত পোদ্দারকে নির্মম ভাবে মারধর করা হয়েছে। এর ফলে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। সেই ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় একটি FIR হয়েছে। এফআইআর হয়েছে হকার্স ইউনিয়নের অফিস ভাঙচুর করার ঘটনার প্রেক্ষিতেও। নির্দেশ অমান্য এবং পুলিশের (Police) এক কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতে মোট পাঁচটি এফআইআর দায়ের করল লালবাজার। এখনও কাউকেই যদিও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে। এদিন নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে কলকাতা পুলিশের তরফে এফআইআর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য শেয়ার করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের উপর হামলার প্রতিবাদে পথে নামছেন পুলিশ পরিবারের মা-বোনেরা। প্ল্যাকার্ড হাতে গান্ধী মূর্তিতে যাবেন তাঁরা। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তাঁরা।
–
–
–
–
–
–
–