বিনা নোটিশে কারো নাম বাদ যাবে না: চাপে পড়ে হলফনামা কমিশনের

0
2

৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ! অবিশ্বাস্যকর এই ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে কার্যত ঘরে-বাইরে চাপে নির্বাচন কমিশন। কোনও পথ না পেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গুরুত্বপূর্ণ হলফনামা (affidavit) কমিশনের। যেখানে জানানো হল, বিনা নোটিশে কারো নাম ভোটার তালিকা (voter list) থেকে বাদ যাবে না। এমনকি তালিকা থেকে বাদ পড়ার আগে সেই ভোটার নিজের সপক্ষে সবরকম নথি পেশের সুযোগও পাবেন। কমিশনের (Election Commission) ভোট চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে বুঝেই এই হলফনামা, দাবি বাংলার শাসকদল তৃণমূলের।

১ অগাস্ট বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন। প্রতিদিন সেই খসড়া তালিকা নিয়ে কারো কোনও অভিযোগ নেই, সেই তথ্য তুলে ধরে নিজেদের কলঙ্কমুক্ত দাবি করার চেষ্টা করলেও আসলে যে বিজেপির সঙ্গে মিলে কমিশনের যাবতীয় কুকীর্তি প্রকাশ্যে যে এসে গিয়েছে, তা বুঝেই নিজে থেকে সুপ্রিম কোর্টে শনিবার হলফনামা পেশ করে কমিশন। সেখানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ১ অগাস্ট যে খসড়া তালিকা (draft voter list) প্রকাশ করা হয়েছে তা কার্যকর করা হবে না ততক্ষণ, যতক্ষণ না যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, তাদের কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে। যাদের নাম বাদ যাবে তারা উপযুক্ত সময় পাবেন প্রয়োজনীয় নথি ও যুক্তি পেশ করার। সেই সঙ্গে সেই সব নথি পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত দফতরও যথেষ্ট সময় পাবে।

বিহারের এসআইআর-এর বিরোধিতায় দায়ের হওয়া মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট জানিয়েছিল, ব্যাপক হারে নাম বাদ দিলে শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করবে। মামলা ১২ অথবা ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানির জন্য উঠবে। তার আগে নিজেরাই নিজেদের সাফাই পেশ করল কমিশন (Election Commission)।

যখন প্রকাশ্যে চলে আসে কীর্তি কলাপ তখনই নিজে থেকে এভাবে হলফনামা দিতে হয়, কটাক্ষ তৃণমূলের। সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, হলফনামা হল শপথ নিয়ে কোনও তথ্য পেশ করা যা সর্বৈব সত্যি বলে স্বীকার করে নেন হলফনামা পেশকারী। একে আইনি প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবেই গণ্য করা হয়। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিজেদের নথিই প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা ভোট চুরিতে দায়ী। তা না হলে হলফনামা (affidavit) পেশের দরকার হল কেন?