“বাবা, ওরা আমায় মারছে… গলা চেপে ধরেছে… আর সহ্য হচ্ছে না… তুমি এসো, আমায় নিয়ে যাও”—শেষবার ফোনে বাবাকে এই করুণ আর্তি জানিয়েছিলেন ২৯ বছরের শ্বেতা প্রসাদ সাউ। মেয়ের সেই ব্যথায় ভরা কণ্ঠস্বর শুনেও তাকে রক্ষা করা গেল না! বেলেঘাটায় নিজের শ্বশুরবাড়িতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শ্বেতাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে তাঁকে।
মৃতার বাবার অভিযোগ, পুত্রসন্তান না হওয়ার ‘অপরাধে’ দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে মেয়েকে। শেষপর্যন্ত সেই নির্যাতনেরই নির্মম পরিণতি কি না, উঠছে প্রশ্ন। মৃতার বাবার আরও অভিযোগ, বহুদিন ধরেই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। একাধিকবার তাকে বেধড়ক মারধর করেছে স্বামী রোহিত সাউ। স্বাভাবিক দাম্পত্যের আড়ালে চলছিল অব্যাহত অত্যাচার। কিছু বছর আগে রোহিতের অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন—সেই নিয়েও তৈরি হয় তীব্র অশান্তি।
প্রসঙ্গত মেয়ের আর্তি শুনে ওই গৃহবধূর বাবা যখন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়িতে যান, তখন তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সন্দেহ হওয়ায় তিনি জোর করে দরজা খুলে ঘরে ঢোকেন এবং দেখেন, খাটে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শ্বেতা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। ঘটনার পর নারকেলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শ্বেতার পরিবার। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান: দু-তিন মাসেই মিলবে সমাধান, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_