দক্ষিণবঙ্গে একের পর এক নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের জেরে চলতি মরশুমে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাঁকুড়ায় (Bankura) মোট ১৩৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার পরিমাণ মেঘালয়ের মৌসিনরামের (Mawsynram) বর্ষাকালের গড় বৃষ্টির চেয়েও বেশি। ফলে খরাপ্রবণ হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়া এবার বৃষ্টিতে হারাল বর্ষার রাজাকে।
বাঁকুড়ার উঁচু জমিতে এই অতিবৃষ্টি ধানচাষে আশার আলো জাগিয়েছে। তবে অন্য চিত্র দেখা যাচ্ছে দামোদর সংলগ্ন নিচু জমিগুলোতে। অতিবৃষ্টির কারণে শশা, জিঙ্গে, কুমড়ো, ভেন্ডি-র মতো সবজি চাষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
পুরুলিয়া (Puruliya) জেলাতেও এবারে বৃষ্টির পরিমাণ ব্যতিক্রমী। জুন-জুলাই মাসে ৯০.৩% বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কৃষি দফতর মতে, এতে আমন ধানের ফলনে বড়সড় সাফল্য আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৮৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। চাষিরা আশাবাদী—এই বর্ষায় ফলন হবে রেকর্ড ছাড়ানো।
এই বর্ষার মরশুমে দক্ষিণবঙ্গ দেখছে দুই বিপরীত চিত্র—একদিকে রেকর্ড বৃষ্টি এনে দিয়েছে চাষে আশার আলো, অন্যদিকে একই বৃষ্টি ডেকে এনেছে জলবন্দি অবস্থা ও ফসলের ক্ষতি। বাঁকুড়ার মতো শুষ্ক জেলায় মৌসিনরামের বৃষ্টিপাতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আরও পড়ুনঃ ভোট বড় দায়! শাহ-সাক্ষাৎ পাবে আরজিকর নির্যাতিতার পরিবার, প্রশ্ন তৃণমূলের
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–