বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দুর সঙ্গে গুরুং, ফের পাহাড়ে গেরুয়া জোটের ইঙ্গিত?

0
2

পাহাড়ে ফের কি গেরুয়া জোটের জমি শক্ত হচ্ছে? বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দার্জিলিংয়ের দুই গুরুত্বপূর্ণ গোর্খা নেতা— বিমল গুরুং ও রোশন গিরির সাক্ষাৎ নতুন রাজনৈতিক জল্পনার জন্ম দিল পাহাড় জুড়ে।

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিপন্থী অবস্থান নেন বিমল গুরুং ও তাঁর অনুগামীরা। আর এবার বিধানসভা ভোটের আগেই আবারও বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত মিলল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড় ও ডুয়ার্সে জাতিগত আবেগ ও গুরুংয়ের দীর্ঘদিনের প্রভাবকে কাজে লাগাতেই বিজেপির এই কৌশল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় শুভেন্দুর সঙ্গে গুরুং ও গিরির এই বৈঠকে পাহাড়ে আসন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ, বিজেপির ভূমিকা ও সম্ভাব্য জোট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু স্বীকার করেননি।

বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। ২০০৭ সাল থেকে শুরু সেই জোটের, যার সুবাদে দার্জিলিং লোকসভা আসনে বারবার বিজেপি প্রার্থী জিতেছেন বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহল। তবে ২০১৭ সালে গুরুং পাহাড় ছেড়ে আত্মগোপন করেন। পরে ২০২০-তে কলকাতায় ফিরে এসে ঘোষণা করেন, তিনি আর বিজেপির সঙ্গে নেই, বরং তৃণমূলকে সমর্থন করতে চান। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং পরবর্তী দার্জিলিং পুরভোটে তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে তৃণমূলের জোট হলেও উল্লেখযোগ্য ফল মেলেনি। তার কিছুদিন পরেই ফের বিজেপির সভামঞ্চে উঠে চমক দেন গুরুং। সে সময় স্পষ্টই বলেন, “রাজনীতিতে সবই সম্ভব। এখন আমরা বিজেপিকে সব আসনে সমর্থন করছি।”

পাহাড়ে এখনও গুরুংয়ের ব্যক্তিগত প্রভাব ও পরিচিতি যথেষ্ট বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। সেই অবস্থানকে কাজে লাগাতে বিজেপি ফের তাঁকে পাশে টানতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ সেই সম্ভাবনারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।এখন দেখার, এই সাক্ষাতের সূত্র ধরে পাহাড়ে বিজেপি-গুরুং জোট ফের কতটা জমি পায় ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে।

আরও পড়ুন- কাজের জন্য অসম গিয়েছিলেন! এবার এনআরসি নোটিশ পেলেন কোচবিহারের দীপঙ্কর সরকার

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_