বহু প্রতীক্ষিত গঙ্গাসাগর সেতু প্রকল্পে ফের গতি আনতে কোমর বাঁধল রাজ্য সরকার। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সাগরদ্বীপকে স্থায়ী ভাবে যুক্ত করতে এবার নতুন করে দরপত্র ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগের টেন্ডারে নির্মাণ সংস্থাগুলির প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছিল। এবার সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত শিথিল করে নতুন টেন্ডারে আগ্রহী সংস্থাগুলির অংশগ্রহণের রাস্তা খুলে দিতে চলেছে রাজ্য। সূত্রের খবর, আর্থিক ও কারিগরি যোগ্যতার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বৈদেশিক মানদণ্ড মেনে চলার নীতিগত সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
তীর্থক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত সাগরদ্বীপে এখনও পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। মুড়িগঙ্গা নদীর উপর লট–৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত এই সেতু দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থানীয় মানুষের। বহুবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেও সাড়া না মেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকার নিজস্ব উদ্যোগেই এই সেতু নির্মাণ করবে। তৈরি হয়েছে প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট (DPR)।
পূর্ত দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কচুবেড়িয়া অংশে সেতু নির্মাণের জন্য মোট ৩৯ জন জমি মালিকের জমি ও পানবরজ অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ২২ জন জমি দিয়েছেন। বাকি জমি অধিগ্রহণের কাজও দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ চলছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে অথবা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (PPP মডেলে) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সরকারি আধিকারিকদের মতে, সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেতু তৈরি হলে শুধুমাত্র পরিবহণের সময়ই কমবে না, বদলে যাবে গোটা সাগরদ্বীপের সামাজিক ও আর্থিক চিত্র। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, সাগরদ্বীপে বছরে একবার নয়, সারা বছর ধরে পর্যটন ও ব্যবসারও সুযোগ খুলে যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন – উত্তরবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা! নবান্নে জরুরি বৈঠক মুখ্যসচিবের
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_