আর জি কর (R G Kar) আন্দোলনের নামে নিজেদের সুবিধা আদায়ের পথে WBJDF-এর সদস্যর- অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। এবার নিজেদের পছন্দের জায়গায় পোস্টিং-এর দাবি আদায়ে WBJDF-এর নেতা অনিকেত মাহাত, আসফাকুল্লা নাইয়ারা। এই নিয়ে আদালতে মামলা করেন তাঁরা। সেই মামলা শুনবে কলকাতা হাই কোর্ট (High Court)। কারণ, রাজ্য জানায় জুনিয়র চিকিৎসকদের বেতন রাজ্য দেয়। সুতরাং ট্রাইব্যুনালে (Tribunal) মামলা হওয়া উচিত। কিন্তু বুধবার, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ দেন, হাইকোর্টেই হবে যাবতীয় মামলা।
ভিকটিম কার্ড খেলে সরকারি রীতি মেনে পোস্টিং-এর বিরোধিতা করেন আর জি কর আন্দোলনের প্রথমসারির নেতারা। সরকারি নির্দেশকে অমান্য করে নিজেদের পছন্দের জায়গায় পোস্টিং চান তাঁরা। মন মতো জায়গায় ‘পোস্টিং’ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্ট পৌঁছেছেন জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাত। অনিকেতের আগে এই নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার ও আসফাকুল্লা নাইয়া। অনিকেতের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলের মামলা যেহেতু বিচারাধীন, সেই কারণে আর জি কর হাসপাতালের একটি আসন খালি রাখা হোক। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী জানান, স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অনিকেতের র্যাোঙ্ক হল ২৪। আর জি করেই মেধার ভিত্তিতে কাজ করতে দিতে হবে, এটা তিনি কী করে দাবি করতে পারেন? এই বিষয় নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি হাই কোর্ট।
সেই মামলা কি আদৌ শুনবে হাইকোর্ট? রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, যেহেতু চিকিৎসকদের বেতন রাজ্য সরকারই দেয়, তাই এই ধরনের মামলা রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বা SAT-এ হওয়া উচিত।
চিকিৎসকদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা MD, MS course করছিলেন। যাকে চুক্তিবদ্ধ বলা যায়। কোনও রকম চাকরি তাঁরা করছেন না। আর যদি কোনও নিয়োগ করতেই হতো তাহলে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয় প্রথমে। তাঁরা কেউ নিয়োগ পদ্ধতির আওতায় পড়েন না।
দুপক্ষে শুনে হাই কোর্ট জানায়, তারা এই মামলা শুনবে। আর বাকি আবেদনের শুনানি হবে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসেই। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অনিকেত মাহাতর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়। নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আরও পড়ুনঃ ভেঙে ফেলা হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন, কতদিন বন্ধ থাকবে!
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–