কুকুরের পর এবার ট্রাক্টরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বিহারে! একযোগে বিজেপি- কমিশনকে নিশানা তৃণমূলের 

0
2

বিহারে SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই নজিরবিহীন সব ঘটনা ঘটছে। প্রথমের ‘ডগ বাবু’কে বাসিন্দার শংসাপত্র দেওয়ার পর এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ট্রাক্টরের নাম! শুনতে হাস্যকর লাগলেও এটাই সত্যি। এবার একটি ট্র্যাক্টরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট (Recidencial Certificate) ইস্যু করেছে বিহার সরকার (Bihar Govt)! গোটা বিষয়টি নিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। একযোগে বিজেপি (BJP) ও নির্বাচন কমিশনকে (ECI) নিশানা করেছে ঘাসফুল শিবির। যেখানে প্রকৃত নাগরিকরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেখানে কিনা ট্র্যাক্টরের নাম উঠে আসছে ভোটার তালিকায়। এই ঘটনা কি নির্বাচন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার উপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিচ্ছে না?

ভারতে ঢোকার চেষ্টা, ২ পাক জঙ্গিকে নিকেশ করল সেনা

চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly election) হওয়ার কথা। তার আগে বিজেপির কথামতো ভোটার তালিকা সংশোধন করতে মহাব্যস্ত কমিশন (ECI)। এই তার কাজের নমুনা। যেখানে ন্যায্য ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে কুকুর, ট্রাক্টর- এই সব নাম উঠে আসছে কমিশনের তালিকায়। এটা গণতন্ত্র আর মানুষের অধিকার নিয়ে ছেলেখেলা নয়? এই ঘটনা আসলে প্রমাণ করে দিল ভোটার যাচাই ব্যবস্থা নামে এই মুহূর্তে যা যা শুরু হয়েছে সবটাই কেন্দ্রের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক টুইট করে বলা হয়েছে, “আগে কুকুর, এবার ট্র্যাক্টর। দু’জনকেই বিহার সরকার বাসিন্দার শংসাপত্র দিয়েছে। এই সার্টিফিকেটগুলোকেই প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশনের ‘Special Intensive Revision’ কর্মসূচি, যেখানে ইতিমধ্যেই লাখো গরিব ও প্রান্তিক মানুষের নাম নির্বিচারে ভোটার তালিকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে।”

বাংলার শাসক দলের তরফ থেকে এই টুইট আসার পর ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে এক হাত নিয়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে এবার গরু-ছাগলের নামেও ভোটার কার্ড বেরোলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিজেপি সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের আসল রূপ। মানুষ এর জবাব দেবে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচন কমিশন কোনটা রাখছে কোনটা দিলে সেটা তারাই বলতে পারবেন। যা সামনে এসেছে সেটা সবাই দেখেছে। ফলে যদি এটা ভুল হত তাহলে তারা তখনই কাউন্টার করতে পারতেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডেকে আর কী কী হয়েছে সেগুলো তো আমরা জানি না।”