মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘প্রশ্নের বিনিময়ে ঘুষ’ মামলা: লোকপালের কাছে রিপোর্ট পেশ সিবিআই-এর

0
2

টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে লোকপালের কাছে রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। মহুয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির বিরুদ্ধেও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে সিবিআই।

লোকপালের নির্দেশে মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছিল ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও উপহার নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া, যার লক্ষ্য ছিল শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিশানা করা। উদ্দেশ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিতে ফেলা। এই অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলের দাবি তোলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তার আগে মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয়অনন্ত দেহাদ্রাইও সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।

পরে দর্শন হিরানন্দানি হলফনামা দিয়ে জানান, মহুয়ার সংসদের লগইন আইডি ব্যবহার করে তিনিই প্রশ্ন দিতেন। যদিও তিনি ঘুষ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। মহুয়া নিজেও নিজের লগইন তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তবুও, লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার বক্তব্য শোনার আগেই একতরফা বহিষ্কারের সুপারিশ করে। গত বছরের ডিসেম্বরে সেই সুপারিশ কার্যকর হয় এবং মহুয়া লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হন।

তবে বিতর্ক সত্ত্বেও চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে মহুয়া পুনর্নির্বাচিত হন। তিনি বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে ৫৬ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেন। এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। কিন্তু লোকসভার সচিবালয় আদালতে জানায়, সংবিধানের ১২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিচারব্যবস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এখন প্রশ্ন উঠছে, লোকপালের হাতে তুলে দেওয়া সিবিআই রিপোর্টের ভিত্তিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রাজনৈতিক মহলে ফের উস্কে উঠেছে প্রশ্ন– আদানিকে নিশানা করাই কি মহুয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণ?

আরও পড়ুন- বাঙালি দেখলেই হেনস্থা, SIR নিয়ে গভীর চক্রান্ত! তোপ দাগলেন অভিষেক

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_