নির্বাচনী ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) নামে দেশে এনআরসি লাগু করার কেন্দ্রের সরকারের সুপ্ত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সংসদে একযোগে সরব বিরোধীরা। পরিকল্পনা মতো বিরোধী সাংসদরা মঙ্গলবার একযোগে সেই প্রতিবাদে সরব হন। সেই সঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষার মানুষকে অপমান ও বিতাড়নের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় (Rajyasabha) সরব হন তৃণমূল সাংসদরা।
বিহারে নির্বাচন কমিশন যে এসআইআর (SIR) লাগু করেছে তার বিরুদ্ধে তৃণমূলই প্রথম সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কীভাবে এই সংশোধনী চালু করে তালিকা থেকে বাসিন্দাদের নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। তার উদাহরণও মিলিছে হাতেনাতে। বিহারে ৪১ লক্ষ মানুষকে ভোটার তালিকা (voter list) থেকে বাদ দিতে চলেছে কমিশন।
কমিশনের সংশোধনীর ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরে সরব সব বিরোধীদল। সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়। ২১শে জুলাইয়ের শহীদ স্মরণের সমাবেশ থাকায় তৃণমূল সাংসদরা সেদিন উপস্থিত ছিলেন না সংসদে। মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদরা সংসদে উপস্থিত হতেই একযোগে প্রতিবাদে সরব বিরোধী সাংসদরা। বিক্ষোভ দেখানো হয় সংসদের (Parliament) মকর দ্বারের বাইরে।
আরও পড়ুন: কেন এই পথে বিমান প্রশিক্ষণ! বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকায় মৃত পেরোলো ৩০
পাশাপাশি বাংলার অপমানের বিরুদ্ধেও এদিন সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যসভায় দাবি তোলা হয়, যেভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অসম্মানের মুখে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা, তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে হবে সংসদে। সোমবার থেকেই পহেলগাম হামলা ও অপারেশন সিন্দুর নিয়ে কেন্দ্রের বিবৃতির দাবিতে সরব ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদরা। সেই সঙ্গে উপরাষ্ট্রপতির (Vice-president) ইস্তফার ব্যাখ্যা দাবিও করা হয়। সেই সঙ্গে সাগরিকা ঘোষ, ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতো সাংসদরা সরব হন বাঙালিদের অপমানের বিরোধিতায়। বিরোধীদের দাবির মুখে নীরব কেন্দ্রের নির্লজ্জ সরকার সংসদের দুই কক্ষই মুলতুবি করে আলোচনার সব পথ বন্ধ করে দেয়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–