কেন এই পথে বিমান প্রশিক্ষণ! বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকায় মৃত পেরোলো ৩০

0
2

প্রশিক্ষণের বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ মঙ্গলবার আরও বাড়লো মৃতের সংখ্যা। সকাল পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতালে আরও চার গুরুতর আহতে মৃত্যু হয় মঙ্গলবার। আর মৃতের সংখ্যা (death toll) বাড়ায় সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই ঘটনার জেরে বাংলাদেশে (Bangladesh) বাড়ছে বিক্ষোভ। দুর্ঘটনা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের যেমন দাবি জানানো হচ্ছে, তেমনই বিমান প্রশিক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন। সেইসঙ্গে মৃত ও আহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের বায়ুসেনার এফ সেভেন বিজিআই (F7 BGI) ফাইটার জেট প্রশিক্ষণের সময় সোমবার স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে। যার ফলে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল পড়ুয়া, জানানো হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) তরফে। মৃত ৩১ জনের মধ্যে ২৫ জন শিশু, যাদের বয়স ১২ বছরের কম বলে জানানো হয়েছে।

সোমবারের দুর্ঘটনার পরে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের পড়ুয়ারা প্রবলভাবে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়। তাদের প্রশ্ন, কিভাবে বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ বিমানের উড়ানের রুট স্কুলের উপর দিয়ে হয়। কেন এই বিষয়ে সরকার আগে খতিয়ে দেখেননি, প্রশ্ন তোলা হয়। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, খারাপ ফাইটার জেট (fighter jet) কেন প্রশিক্ষণের কাজে লাগানো হয়েছে।

চিনে (China) প্রস্তুত হওয়া এফ সেভেন বিজিআই (F7 BGI) একটি অত্যাধুনিক মানের বিমান। যা চিনে প্রস্তুত এই ধরনের বিমানের মধ্যে সবথেকে আধুনিক। ২০১১ সালে এই ধরনের ১৬ টি বিমান কেনে বাংলাদেশ। সেই রকমই একটি বিমান সোমবার ভেঙে পড়ে স্কুলের উপর। আর এরপরই বাংলাদেশের স্কুল ও কলেজপড়ুয়াদের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল করে আধুনিক ও নিরাপদ বিমান ব্যবহার করতে হবে রাষ্ট্রকে।

আরও পড়ুন: ১১ দিন আগে ইস্তফার দাবি ওড়ান: কেন সরে গেলেন ধনকড় স্পষ্ট মোদির ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ পোস্টে

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয় মৃতের সংখ্যা ৩১। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭৮ জন। যদিও বেসরকারি মতে দাবি, আহতের সংখ্যা অন্তত ১৬৫। এই বিভ্রান্তির পর আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি মৃত ও আহতদের সঠিক সংখ্যা জানাতে হবে। এবং যথাযথ নিয়ম মেনে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রশাসনের যে উপদেষ্টারা তদন্তে এসেছিলেন তাঁরা আটকে পড়েন কলেজেই।