প্রার্থীই খুঁজে পেল না বিজেপি! মহিষাদলের সমবায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল

0
2

সমবায় ভোটে কার্যত লড়াইয়ের ময়দানেই অনুপস্থিত রইল বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত তেঁতুলবেড়্যা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ৫২টি আসনের মধ্যে ৪২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি মনোনয়ন দিতে পেরেছে মাত্র ১০টি আসনে।

এই সমবায়ের মেয়াদ শেষ হয়েছিল কয়েক মাস আগেই। ভোটের দিন ধার্য ছিল আগামী ৯ অগাস্ট। কিন্তু মনোনয়ন পর্বেই বাজিমাত করে দেয় তৃণমূল। বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তারপর শনিবার প্রকাশিত প্রার্থীতালিকায় দেখা যায়—তৃণমূল ৪২টি আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই জয়ী হয়েছে। ফলে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই এই সমবায়ে বোর্ড গঠনের পথে এগোচ্ছে।

এই উপলক্ষে শনিবার তৃণমূল প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুদর্শন মাইতি সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। সমবায়ের বিদায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান সুদীপ্ত আগুয়ান বলেন, “আমরা বিগত পাঁচ বছরে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, তা থেকেই মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোট ছাড়াই এই জয় তারই প্রমাণ।”

তেঁতুলবেড়্যা সমবায় আগেও তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। যদিও এই সমবায় যে বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত, তা বর্তমানে বিজেপির হাতে। তবে সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান প্রায় এক বছর আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “মোদি-শাহরা যতই হাওয়া তোলার চেষ্টা করুক, ২০২৬-এর নির্বাচনের বার্তা এখনই স্পষ্ট। যেখানেই সমবায় নির্বাচন হচ্ছে, বিজেপি সেখানে ধরাশায়ী হচ্ছে। বেতকুণ্ডুতে বিজেপির প্রার্থী দেওয়ারই শক্তি নেই। আমি ওই এলাকার জনসাধারণ ও সমবায় কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”

আরও পড়ুন – বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র! ডিএল রায়কে স্মরণ প্রয়োজন: জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_