কথায় কথায় জয় শ্রীরাম! তাতে যতটা ভক্তি, তার থেকে বেশি উগ্রতা। পদ্ম শিবিরের এই রাম-নাম ভালো ভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ। ফলে ক্রমশ ফিকে হচ্ছে গেরুয়া। বাঙালি আবেগ ধরতে নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) আমলে সেই কারণেই হয়ত দুর্গা-কালীর শরণে বিজেপি (BJP)। দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের কাছে বাড়ি বাড়ি মোদির সভার আমন্ত্রণ পত্রে বড় করে লেখা, “ভারত মাতার জয়, জয় মা দূর্গা, জয় মা কালী”। এই নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। শশী পাঁজা (Shashi Panja) বলেন, মানুষের মধ্যে ভগবান খুঁজুন। তাঁদের উন্নয়ন করুন।
২০২১-এর বিধানসভা হোক বা ২০২৪-এর লোকসভা- জয় শ্রীরাম বলে ভোট চাইতে গিয়েছে বিজেপি। আর সেই জয়ধ্বনিতে যত না ভক্তি, তার থেকে বেশি ছিল ঔদ্ধত্য- অভিযোগ বিরোধীদের। বাংলার মানুষও সেটা গ্রহণ করেনি তার প্রমাণ মিলেছে ভোট বাক্সে। এই পরিস্থিতি উগ্র হিন্দুত্ববাদ ও বাংলা-বিরোধীর তকমা গা থেকে ঝেড়ে ফলতে চাইছে বিজেপি। শমীক ভট্টাচার্যের আমলে, সেই কারণে রাম ছেড়ে রামচন্দ্র যে দেবীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন, সেই দুর্গা ও কালীর শরণে বর্তমান বিজেপি নেতৃত্ব। মোদির সভায় আসার যে আমন্ত্রণপত্র বিলি হয়েছে তার উপরে লেখে ‘প্রিয় দুর্গাপুরবাসী’। দ্বিতীয় লাইনেই লেখা, “ভারত মাতার জয়, জয় মা দূর্গা, জয় মা কালী”। বাংলার মানুষের মন জয়ের করতেই এই স্ট্র্যাটেজি বদল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এর আগে শমীক ভট্টাচার্যের দায়িত্ব নেওয়া
শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, তিনি সবার ধর্মাচারণের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। যাঁর ইচ্ছে হবে কালী মন্দিরে যাবেন, যাঁরা ইচ্ছে হবে নমাজ পড়বেন- সবাই শান্তি থাকুন সেটাই তাঁরা চান। কিন্তু রামনামের বদলের কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি রাজ্য সভাপতি।
আর এই বিষয় নিয়ে বিজেপিকে (BJP) তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্য়ের মন্ত্রী শশী পাঁজা। শুক্রবার, সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভক্তিতে আন্তরিকতা থাকে। সেটা দেখানো বিষয় নয়। তারা বাংলায় দুর্গা-কালীর কথা বলে, ভিনরাজ্যে অন্য কথা বলে। এটা বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেন শশী। একই সঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে ভগবান খুঁজুন। তাদের উন্নয়ন।
আরও খবর: TRF-কে জঙ্গি তালিকাভুক্ত আমেরিকার, মার্কিন পদক্ষেপকে স্বাগত ভারতের
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–