৯ হাজার টাকা বেতনের শ্রমিকের ৭ কোটি টাকা GST বকেয়া! বাড়িতে হানা আধিকারিকদের

0
2

৯ হাজার টাকা আয়ের একজন সাধারণ কারখানার শ্রমিক। অথচ, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাজ্য জিএসটি (GST) দফতরের দাবি, তিনি কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেন! সাত কোটি টাকার জিএসটি (GST) ফাঁকি দিয়েছেন! এমন অবিশ্বাস্য অভিযোগে তাজ্জব ডোমজুড়ের খাটোরার যুবক কার্তিক রুইদাস। ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার দুপুরে। রাজ্য জিএসটি (GST) দফতরের ৬ সদস্যের একটি দল হানা দেয় কার্তিকের খাটোরার বাড়িতে। সে সময় কার্তিক কাজে ছিলেন। পরিবারের ফোন পেয়ে সাইকেল চেপে তড়িঘড়ি বাড়ি ফেরেন তিনি।

জিএসটি (GST) আধিকারিকদের অভিযোগ, কার্তিক ‘কেডি এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি সংস্থার মালিক। তাঁর নামে রয়েছে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। মাসে প্রায় ৩৬ কোটি টাকার লেনদেন হয় সেই অ্যাকাউন্টে। সংস্থার বিরুদ্ধে রয়েছে জিএসটি (GST) ফাঁকি, ভুয়ো ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট এবং অবৈধভাবে মালপত্র মজুত রাখার মতো একাধিক অভিযোগ। কার্তিকের দাবি, “আমি একটা ছোট কারখানায় শ্রমিকের কাজ করি। মাসে মাত্র দশ হাজার টাকা পাই। স্ত্রী, ৯ বছরের কন্যা ও সদ্যোজাত পুত্রকে নিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই। জীবনে কোনওদিন ব্যবসা করিনি।”

পরিদর্শনের সময় আধিকারিকরা নিজেরাই হতবাক হয়ে যান। কার্তিকের ভাঙাচোরা ছোট বাড়ি, সরু গলি দিয়ে কোনও মালবাহী গাড়ি তো দূরের কথা, রিকশাও যাওয়া দায়। আশেপাশে কোনও গুদাম, লোহার জিনিস বা অফিসের অস্তিত্ব নেই। তদন্তে দেখা যায়, জিএসটি পোর্টালে সংস্থার নামে থাকা দুটি মোবাইল নম্বরই ভুয়ো। কার্তিকের নিজের নম্বর এবং তথ্যের সঙ্গে মিল নেই। তাঁর আধার, প্যান, ইলেকট্রিক বিলের তথ্য ব্যবহার করে কে বা কারা একটি শেল কোম্পানি গড়ে তোলে, সেই সন্দেহ স্পষ্ট হয়।

এই ঘটনায় ডোমজুড় থানায় এবং হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কার্তিক। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। কার্তিক রুইদাসের তথ্য চুরি করে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”