আগে থেকেই ‘বিকল’ অভিশপ্ত বিমান! এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদিন অভিযোগ

0
2

আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার পরে গোটা দেশ উত্তর খুঁজছে – কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো। সেখানেই একদিকে বিমানটি সঠিক অবস্থায় ছিল কিনা, সেই প্রশ্ন যেমন উঠছে। তেমনই উঠছে বিমান চালকের ভূমিকা নিয়ে। এই তদন্তেই রসদ যুগিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) একটি ভিডিও (ভিডিও-র সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি)। আমেদাবাদ (Ahmedabad) থেকে রওনা দেওয়ার আগে যখন দিল্লি থেকে আমেদাবাদ এসেছিল এই বিমান তখনই সেখানে নানা রকম গোলযোগ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে সেই ভিডিওতে। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ডিজিসিএ (DGCA)। তবে তার আগে কাঠগড়ায় ওঠার যথেষ্ট কারণ রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) কর্তৃপক্ষের। প্রশ্ন উঠেছে, সবকিছু ধামাচাপা দিতেই কী নিহতদের পরিবারকে এক কোটি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা টাটা গ্রুপের (Tata Group)।

এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ (AI 171) বিমানটি বৃহস্পতিবার সকালে প্যারিস (Paris) থেকে দিল্লিতে (Delhi) পৌঁছয়। এরপর সকালে দিল্লি থেকে রওনা দেয় আমেদাবাদের পথে। তবে দিল্লি থেকে আমেদাবাদ রওনা দেওয়ার আগেই বিমানে বিভিন্ন রকম গোলমালের উল্লেখ করেন এক যাত্রী আকাশ বৎস। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ভিডিও শেয়ার করে সেই বক্তব্য জানিয়েছিলেন।

আকাশের তোলা ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটিতে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম কাজ করছিল না। বিমানের ইলেকট্রনিক্স ও যোগাযোগের সংযোগকারী সব যন্ত্রই বিকল ছিল। আকাশ বিমানটিকে ট্যাক্সি সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। গরমে যাত্রীদের হাতের ম্যাগাজিন দিয়ে হাওয়া খেতেও দেখা যায় ভিডিওতে। আমেদাবাদে (Ahmedabad) বিমানটি ভেঙে পড়ার (crash) পর আকাশ ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন দুঘন্টা আগে তিনি ওই বিমানেই বসে ছিলেন।

তবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি নিয়ে পরিষেবার ও যান্ত্রিক নানা সমস্যার উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে বারবার উঠে এসেছে। ২৪ ঘন্টা আগে লেহর শেঠি নামে আরও এক যাত্রী ভিডিও তুলে ধরেছিলেন এআই ৩১৪ (AI 314) বিমানের। রাত দশটা নাগাদ দিল্লি থেকে রওনা দেওয়া বিমানে এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থা বিকল ছিল। তার থেকেও চাঞ্চল্যকরভাবে সেই বিমানের চালক সফটওয়্যার-এর (software) সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন গ্রাউন্ডে। যে কারণে বিমানটি ছাড়তে দীর্ঘ সময় দেরি করে। এই ঘটনা আমেদাবাদের দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনার প্রায় ১২ ঘন্টা আগের।

টাটা গ্রুপের (Tata Group) পক্ষ থেকে বিমান দুর্ঘটনার (plane crash) পরে নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি আমেদাবাদের ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালটি মেরামতির দায়িত্বও নেওয়া হয়েছে। নিজেদের গাফিলতি ঢাকতেই কী দুর্ঘটনার পরে এত ক্ষতিপূরণ, প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।