সামশেরগঞ্জ রিপোর্ট-রাজনীতি বিজেপির: মিথ্যা প্রচারের মুখোশ খুলল তৃণমূল

0
2

মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে হিংসার ঘটনার পরে পরিস্থিতি সেখানে শান্ত। শান্তি ফেরার পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা শুনেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে যথাযথ সাহায্য়। ইতিমধ্যে ১৫ মে কলকাতা হাইকোর্টে সামশেরগঞ্জ (Samsherganj) হিংসার রিপোর্ট জমা দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) গঠিত তিন সদস্যের কমিটি। রাজ্যে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করতে চাওয়া বিজেপি সর্বত্র ব্যাকফুটে। এবার ফের সামশেরগঞ্জ নিয়ে বাংলার নামে কুৎসার রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। সেখানেই তৃণমূলের স্পষ্ট জবাব, যেখানে বাংলার শাসকদল পাকিস্তান ইস্য়ুতে সবরকমভাবে ভারত সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেখানে বাংলার উন্নয়নে স্থানীয় নেতারা ব্যস্ত বাংলার বদনাম করতে।

বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়, রিপোর্টে এক স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে ভাঙচুর চালানো হয় সামশেরগঞ্জে। বিধায়কের নিষ্ক্রীয়তার দাবিও করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই দাবি থেকেই ফের একবার রাজ্যে ধর্মীয় বিভেদ তৈরি চেষ্টায় হিন্দু-মুসলিম ভোট ভাগের রাজনীতি বিজেপির ট্রেনি রাজ্য সভাপতির। স্বাভাবিকভাবেই রিপোর্টের নির্দিষ্ট অংশ উল্লেখ করে বিজেপির নতুন চক্রান্ত নিয়ে সরব শাসকদল তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপি যে ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাইছে, পহেলগাম জঙ্গি হামলার পরে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস যখন দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে, সর্বভারতীয় প্রতিনিধি দলে আমাদের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিদেশ সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিদেশে রওনা হয়েছে, এমন একটি পরিস্তিতিতে বিজেপি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) নিয়ে যে ভেদমূলক, বিদ্বেষমূলক, বিষ ছড়ানো, প্ররোচনামূলক প্রচার করছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।

তবে হাইকোর্টে কমিটির রিপোর্ট পেশের পরে বিজেপির স্থানীয় নেতারা যা করছেন, তা নতুন নয়। সামশেরগঞ্জের অশান্তির শুরু থেকে এভাবেই রাজনীতি করে এসেছে বিজেপি। সেই কথা মনে করিয়ে কুণাল বলেন, এই ঘটনার পরে একাধিক প্রেক্ষিত প্রকাশ্যে এসেছে। একটা বৃহত্তর চক্রান্ত। বাংলাদেশ সীমানার ওপার থেকে হামলাবাজরা এসেছিল কি না, বহিরাগতরা এসেছিল কি না, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চলছে, যে একটা নির্দিষ্ট দৃশ্যপট তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট চিত্রনাট্যে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

শুধুমাত্র ঘটনার পরিকল্পনা ও সম্পাদনা নয়। তারপরেও বিজেপির মিথ্য়া প্রচারের মুখোশ খুলে কুণাল বলেন, যখন এটা নিয়ে তদন্ত চলছে, তখন অন্য জায়গার ছবি দিয়ে মিথ্যা প্রচার। সেগুলোকে পোস্ট করে মুর্শিদাবাদ বলে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা হয়েছে। বিজেপি করেছে এগুলো।

যে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ নিয়ে কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করতে চেয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব, সেই পুলিশ কীভাবে দায়িত্ব পালন করেছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, পুলিশ শুধু এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফেরায়নি, সমানে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিকৃত তথ্য প্রচারকে থামানো ও সঠিক তথ্য প্রচার করার কাজও দায়িত্বের সঙ্গে করে গিয়েছেন।