রাজ্যে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) আপত্তির কারণ গুলি কি? তা খতিয়ে দেখবে বিচারপতি ললিতের নেতৃত্বাধীন কমিটি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Suprme Court) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। আচার্যের আপত্তির সঙ্গে বিচারপতি ললিত একমত হতে পারেন, নাও হতে পারেন। এই বিষয়ে বিচারপতি ললিতের নেতৃত্বে সার্চ অ্যান্ড সিলেকশন কমিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। এদিন সুপ্রিম কোর্টে পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি সূর্যকান্ত।
রাজ্যপালের আপত্তি সুপ্রিম কোর্টে (Suprme Court) নয় জানাতে হবে বিচারপতি ললিতকেই- স্পষ্ট করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন রাজ্যপালের তরফে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বলেন, পেনড্রাইভে দুটি কপি জমা দেওয়া হয়েছে। ওনারা বিচারপতি ললিত সঙ্গে কথা বলেছেন দুদিনের মধ্যে ওই পেনড্রাইভ পাসওয়ার্ড-সহ পাঠানো হবে বিচারপতি ললিতের কাছে। যদিও এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে কিছু নিয়োগ হোক এই আবেদন করেন। পরের সপ্তাহে শুনানির আবেদন জানান আইনজীবী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেয় বিচারপতি সূর্যকান্ত ও এন কোটশ্বর সিং এর বেঞ্চ।
রাজ্যের ৩৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা করছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল আনন্দ বোস। এই কারণে তাকে সুপ্রিম কোর্টে রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। রাজ্যের পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় তারা কোনও আপস করবে না আগেই জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যপাল এই নিয়োগ যদি দ্রুত সম্পন্ন না করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ সম্পন্ন করবেন আগেই জানিয়েছে বিচারপতি সূর্যকান্ত।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বেঁধে দেওযা সময়ের মধ্যেও কেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। আনন্দ বোসের (C V Anand Bose) আইনজীবীর কাছে আগেই জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্তর বেঞ্চে। সিল বন্ধ খামে সেটি জানানো নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–