চেনা মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী, বহরমপুরে আচমকা ঢুকলেন প্রতিমাশিল্পীর বাড়ি

0
2

জনসংযোগ জননেত্রীর। বালিগঞ্জ হোক কিংবা বহরমপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জায়গাতেই মিশে যান মানুষের ভিড়ে। মানুষের ঘরে। হ্যাঁ, ঘরে। রাজনীতিবিদের খোলস একপাশে হেলায় সরিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীস্বরূপ গাম্ভীর্য তাঁকে গ্রাস করে না যখন তিনি আমজনতার অন্দরমহলে ঢুকে পড়েন তাঁদের জীবনযাপনের খোঁজ নিতে। এই মুহূর্তগুলোতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুই দিদি। সেই আন্তরিকতা নিয়েই তিনি এবারও বহরমপুরে মিশে গেলেন মানুষের ভিড়ে।

সোমবার চলতি পথে সার্কিট হাউসের পাশের একটি পাড়ায় আচমকা ঢুকে পড়লেন বাড়িতে। ঢোকেন শ্রীদাম হালদারের বাড়িতে। তিনি মূর্তি গড়েন। আচমকা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে দেখে হকচকিয়ে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখ টেনে নিয়েছে ঘরের ভিতরে শিবের মূর্তি। ভক্তিভরে প্রণাম করে মালাও পরালেন। শ্রীদামের কাছে জানতে চাইলেন আর কী কী মূর্তি গড়েন! এই মূর্তি কবে কোথায় যাবে? শ্রীদাম জানালেন, আর কয়েকদিন পরেই এই মূর্তি বেরিয়ে যাবে। বেশকিছুক্ষণ সেখানে থেকে পরিবারের বাকিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বেরিয়ে আসেন। শ্রীদামের ঘোর তখনও কাটেনি। বললেন, সারাজীবন এই ঘটনা আমাদের জীবনে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এই দিনটি আমাদের পরিবারের লোকেরা কোনও দিন ভুলবে না। শুধু এখানেই নয়, বহরমপুর পৌঁছে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জনতার সঙ্গে মিশে যান। আট থেকে আশি সকলেই হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে। তাঁকে একবার দেখতে। নিরাশ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন। মাঝেমধ্যেই থমকাতে হয় জনতার আবদারে, তাদের ভিড়ে। অনেকদিন পর বহরমপুরে এসে কার্যত উচ্ছ্বাসে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন – টুটুকে নিয়ে মিলল না সমাধান, ফের হবে বৈঠক

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_